ইউরোপে অধ্যায়ন: স্টুডেন ভিসা ও খরচ ২০২৫
প্রিয় বন্ধুরা, আপনারা স্টুডেন্ট ভিসায় ইউরোপে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করছে। কিন্তু কিভাবে স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন করবেন এবং ইউরোপের কোন দেশে আপনি স্টুডেন্ট ভিসায় যাবেন বুঝতে পারছেন না। আপনাদের জন্য আমার এই আর্টিকেলটি। এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণরূপে তাহলে আপনি স্টুডেন্ট ভিসায় ইউরোপের কোন দেশে যাবেন বা ইউরোপের কোন দেশে পড়াশোনার জন্য গেলে আপনার জন্য ভালো হবে সেটা বুঝতে পারবেন।
বিশ্বের উন্নত মানের শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নত জীবন ব্যবস্থা এবং সমৃদ্ধ সংস্কৃতি
জন্য ইউরোপ চিরকালই আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের কাছে একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য
হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। তবে এই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেয়ার জন্য আপনাকে পেতে হবে
একটি স্টুডেন্ট ভিসা, যা শিক্ষার্থীদের কাছে একটি চ্যালেঞ্জিং বিষয়। তবে
আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি উদ্বুদ্ধ হবেন এবং কিভাবে স্টুডেন্ট ভিসায় ইউরোপে
যেতে পারবেন সে বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
ইউরোপে পড়াশোনা কেন
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য ইউরোপ স্বপ্নের মত। কারণ ইউরোপের জীবনযাত্রা
মান, বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ, উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থা, কর্মসংস্থানের
সুযোগ এবং সহজেই স্টুডেন্ট ভিসায় ইউরোপে আসা যায়। পড়াশোনার জন্য ইউরোপে কেন
আসবেন এর আরো কিছু কারণ রয়েছে আসুন সেগুলো জানি।
- ৬৮৮ টি QS রেঙ্কিং বিশ্ববিদ্যালয়
- ১৮ মাসে পোস্ট-স্টাডি ওয়ার্ক পারমিট
- কম খরচে পড়ালেখা সুযোগ
- বৃত্তিমূল্য: €1,515 থেকে €10,000
- ৩০ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে ভিসা পাওয়ার সুবিধা
ইউরোপে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য কেন আবেদন করবেন
ইউরোপীয় দেশগুলো আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা করার জন্য সেরা বিকল্প।
বিশ্বের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর স্থান ইউরোপের দেশগুলোতে। অক্সফোর্ড
বিশ্ববিদ্যালয় ,ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের মত অনেক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে
ইউরোপের দেশগুলোতে। যা বিশ্বের যতগুলো বিশ্ববিদ্যালয় আছে তাদের মধ্যে প্রথম
স্থান অধিকার করে আছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়ালেখার মান অনেক উন্নত, আছে
উন্নত জীবন ব্যবস্থা এবং উৎসব বেতনে চাকরি করার সুযোগ।
ইউরোপের দেশগুলোতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে বৃত্তিপ্রধান
ব্যবস্থা এবং স্বল্প খরচে লেখাপড়া করার সুযোগ রয়েছে। রয়েছে পড়ালেখার
পাশাপাশি পার্ট টাইম জব অফার, যে জব করার মাধ্যমে আপনি আপনার জীবনকে সুন্দরভাবে
সাজাতে পারবে। ইউরোপের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়ালেখা করার জন্য প্রায় সমস্ত
রকমের সুযোগ সুবিধা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দিয়ে থাকে। এছাড়াও রয়েছে Y-Axis এর
মতো প্রতিষ্ঠান ।এই প্রতিষ্ঠান থেকে সমস্ত রকমের সুযোগ সুবিধা আপনাকে দেয়া
হবে।
ইউরোপের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অধ্যায়নরত অবস্থায় আপনি ইউরোপের চাকরি বাজারে
প্রবেশ করতে পারবেন। উচ্চ শিক্ষা, উন্নত জীবন ব্যবস্থা এবং নিজের স্বপ্নকে
বাস্তবে রূপ দেয়ার জন্য ইউরোপের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো একটি বিকল্প স্থান।
ইউরোপের স্টুডেন্ট ভিসার প্রকারভেদ
ইউরোপে পড়াশোনা করার আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের ভিসার সম্ভাবনা
রয়েছে। এদের মধ্যে যেকোনো একটি ভিসার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ইউটিউবে পড়াশোনার
জন্য আসতে পারে।
১. ইউরোপের শেনজেন ভিসা
ইউরোপের দেশগুলো আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য শেনজেন ভিসা দিয়ে থাকে।
শেনজেন ভিসা মূলত অস্থায়ী ভিসা এটা মূলত তিন মাসের জন্য দেয়া হয়। যে সকল
শিক্ষার্থীরা স্বল্প সময়ে পড়ালেখা করার জন্য ইউরোপে যেতে চান তারা এ বিষয়ে
আবেদন করেন।শেনজেন ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে বাড়ানো যায় এবং রেসিডেন্সি
পারমিট এর জন্য আবেদন করতে পারবে। শেনজেন ভিসা একটি স্টুডেন্ট ভিসা এখানে IELTS
বা অন্য ভাষা পরীক্ষা মঞ্জুর করা হয় যদি সংস্থার প্রয়োজন না হয়।
২. দীর্ঘ স্থায়ী ভিসা
দীর্ঘস্থায়ী ভিসা মূলত আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য দেয়া হয় যারা ছয়
মাসের বেশি সময় থাকার জন্য কোন কোর্স বা প্রোগ্রামে ভর্তি হন তাদের জন্য।
রেসিডেন্সি পারমিট অন্তর্ভুক্ত থাকে এই বিষয়। যে সকল শিক্ষার্থীরা
দীর্ঘমেয়াদী লেখাপড়ার জন্য ইউরোপে পারি সময় এবং পড়ালেখার শেষে তাদের
ক্যারিয়ার গড়ার লক্ষ্যে চেষ্টা চালায় সাধারণত সে সকল শিক্ষার্থী
দীর্ঘমেয়াদী ভিসা আবেদন করে।
৩. ইউরোপে স্টুডেন্ট ভিসা
ইউরোপে স্টুডেন্ট ভিসা মূলত সে সকল শিক্ষার্থীদের জন্য যারা কোন নির্দিষ্ট
বিশ্ববিদ্যালয় পড়ালেখার সুযোগ পায় এবং কোর্স শেষ না হওয়া পর্যন্ত সেখানে
অবস্থান করতে হয় তারা স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন করে। কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি
হওয়ার সুযোগ পেলে এই ভিসার জন্য আবেদন করে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোর্স বা
প্রোগ্রামের জন্য সে দেশে প্রবেশের অনুমতি দেন। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য
সাধারণ বিষয় গুলোর মধ্যে এই বিষয়টি অন্যতম।
ইউরোপের সেরা বিশ্ববিদ্যালয় যেগুলো
বর্তমান বিশ্বে যতগুলো বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে তার মধ্যে সেরা
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গন্তব্য স্থান হল ইউরোপ। 688 টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউরোপের
সেরা বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে স্থান পেয়েছে। শিক্ষার গুণগত মান, অবকাঠামো
উন্নয়ন, উন্নত গবেষণা সুবিধা, কম খরচে শিক্ষার ব্যবস্থা, অন্যান্য অনেক কারণে
ইউরোপের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শীর্ষস্থান দখল করে রয়েছে। আসন জেনে নিই ইউরোপে
বিশ্বের শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয় গুলো কি কি।
- অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়
- ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়
- লন্ডন ইম্পেরিয়াল কলেজ
- এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়
- কিং কলেজ লন্ডন
- ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়
- ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়
- গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়
- UCL
- ইথ জুরিখ
- বিশ্ববিদ্যালয় পিএসএল ইত্যাদি
ইউরোপের এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিশ্বের শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছে তাদের দক্ষতা,
শিক্ষার কৌশল, স্বল্পমূল্যে লেখাপড়ার সুযোগ এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের
অগ্রাধিকার দেয়ার মাধ্যমে।
ইউরোপে স্টুডেন্ট ভিসার যোগ্যতা
ইউরোপে স্টুডেন্ট ভিসায় লেখাপড়া করতে যেতে চাইলে প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের
অবশ্যই কিছু যোগ্যতার প্রমাণ দিতে হবে। সকল যোগ্যতা না থাকলে স্টুডেন্ট ভিসায়
ইউরোপে যাওয়া সম্ভব নয়।
অনেক শিক্ষার্থী আছেন যারা স্টুডেন্ট ভিসায় ইউরোপে
যেতে চান কিন্তু কি কি যোগ্যতা লাগবে সে বিষয়ে জানেন না। আসুন জেনে নিই ইউরোপে
স্টুডেন্ট ভিসার জন্য কি কি যোগ্যতার প্রয়োজন।
ইউরোপে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য সাধারণত কিছু মূল যোগ্যতার প্রয়োজন হয়। এখানে
কিছু সাধারণ যোগ্যতা উল্লেখ করছিঃ
১.স্বীকৃত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তিঃ ইউরোপীয় কোনো স্বীকৃত
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়া জরুরি। ভর্তির প্রমাণপত্র দিতে হবে।
২.আর্থিক সামর্থ্যঃ আপনার নিজের বা স্পন্সরের আর্থিক সামর্থ্যের
প্রমাণ দিতে হবে, যাতে দেখা যায় যে আপনি আপনার শিক্ষা ও জীবনযাত্রার খরচ বহন
করতে পারবেন।
৩.স্বাস্থ্য বীমাঃ বেশিরভাগ ইউরোপীয় দেশে, ছাত্রদের জন্য
স্বাস্থ্য বীমা প্রয়োজন। এর প্রমাণ প্রদান করতে হবে।
৪.ভিসা আবেদন ফিঃ স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন করার সময় নির্ধারিত ফি
প্রদান করতে হবে।
৫.পাসপোর্টঃ বৈধ পাসপোর্টের প্রয়োজন, যার মেয়াদ আবেদনের সময়
এবং পাঠ্য সময়কালের পরেও বৈধ থাকবে।
৬.প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টঃ আবেদন ফর্ম, ফটোগ্রাফ, শিক্ষাগত
যোগ্যতার প্রমাণপত্র, এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট প্রদান করতে হবে।
এগুলি সাধারণ যোগ্যতা এবং প্রয়োজনীয়তা, তবে বিভিন্ন ইউরোপীয় দেশে কিছু
ভিন্নতা থাকতে পারে। আপনি যে নির্দিষ্ট দেশে পড়তে যাচ্ছেন, সেই দেশের
দূতাবাস বা কনস্যুলেট থেকে আরও তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন।
ইউরোপে স্টাডি ভিসার প্রয়োজনীয়তা
ইউরোপে স্টুডেন্ট ভিসায় যাওয়ার জন্য বিভিন্ন রকমের ডকুমেন্টের প্রয়োজন হতে
পারে। তবে ইউরোপের এক এক দেশে এক এক রকমের ডকুমেন্ট প্রয়োজন হতে পারে। আসন
জেনে নিই ইউরোপে স্টুডেন্ট ভিসায় সাধারণত কি কি প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
ইউরোপে স্টাডি ভিসার জন্য কিছু সাধারণ প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করছি:
- স্বীকৃত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তিঃ আপনাকে একটি ইউরোপীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে হবে এবং আপনার ভর্তির প্রমাণপত্র থাকতে হবে।
- আর্থিক সামর্থ্যের প্রমাণঃ আপনার বা আপনার স্পন্সরের অর্থনৈতিক সামর্থ্যের প্রমাণ দিতে হবে যাতে দেখা যায় আপনি আপনার শিক্ষা ও জীবনযাত্রার খরচ বহন করতে পারবেন।
- স্বাস্থ্য বীমাঃ বেশিরভাগ ইউরোপীয় দেশে স্বাস্থ্য বীমার প্রয়োজন হয়। এটি প্রমাণপত্র সহ জমা দিতে হবে।
- ভিসা আবেদন ফিঃ আবেদন করার সময় নির্ধারিত ফি প্রদান করতে হবে।
- পাসপোর্টঃ বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে যার মেয়াদ আপনার স্টাডি পিরিয়ডের পরেও বৈধ থাকবে।
- অভ্যন্তরীণ অনুমোদনপত্রঃ কিছু দেশে অভ্যন্তরীণ অনুমোদনপত্র প্রয়োজন হতে পারে যা তাদের সরকার বা ভিসা অফিস প্রদান করে।
- শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণঃ আপনার পূর্ববর্তী শিক্ষাগত যোগ্যতার শংসাপত্র এবং রেজাল্ট সরবরাহ করতে হবে।
- ভিসা আবেদন ফর্মঃ প্রতিটি দেশের ভিসা আবেদন ফর্ম বিভিন্ন হতে পারে। তাই নির্দিষ্ট দেশের ভিসা আবেদন ফর্ম পূরণ করতে হবে।
- ছবিঃ আপনার সম্প্রতি তোলা পাসপোর্ট সাইজের ফটোগ্রাফ জমা দিতে হবে।
- অন্যান্য ডকুমেন্টঃ কিছু দেশে অন্য বিশেষ ডকুমেন্ট যেমন মেডিকেল সার্টিফিকেট, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ইত্যাদি প্রয়োজন হতে পারে।
প্রতিটি ইউরোপীয় দেশের ভিসা প্রক্রিয়ার কিছু পার্থক্য থাকতে পারে, তাই
নির্দিষ্ট দেশের দূতাবাস বা কনস্যুলেট থেকে সঠিক তথ্য সংগ্রহ করা সবচেয়ে
ভাল।
ইউরোপে পড়ালেখার সুবিধা
ইউরোপের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে লেখাপড়া করার স্বপ্ন অনেক শিক্ষার্থীদের।
নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করা এবং নিজের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার জন্য অনেকে
ইউরোপে স্টাডি ভিসায় আসতে চাই। ইউরোপে স্টাডি ভিসায় পড়ার ক্ষেত্রে সে
দেশের সরকার বা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনেক সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকে।
ইউরোপে পড়ালেখা করার সুবিধা অনেক রয়েছে। এখানে কিছু প্রধান সুবিধা উল্লেখ
করছি।
- বিশ্বজনীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানঃ ইউরোপের অনেক বিশ্ববিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজ রয়েছে যেগুলো বিশ্বজনীন শিক্ষা প্রদান করে। এই প্রতিষ্ঠানগুলো সমস্ত বিষয়ে বিশ্বস্ত শিক্ষা প্রদান করে।
- বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতিঃ ইউরোপে বিভিন্ন সংস্কৃতি এবং ভাষা রয়েছে যা শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অসাধারণ অভিজ্ঞতা প্রদান করে।
- আঞ্চলিক সংযোগঃ ইউরোপে পড়াশোনা করলে শিক্ষার্থীরা আঞ্চলিক সংযোগ করতে পারে এবং বিভিন্ন দেশের সাথে কাজের সুযোগ পেতে পারে।
- বিনোদন এবং স্বাস্থ্যসেবাঃ ইউরোপের শিক্ষার্থীরা সুস্থ এবং সুসজ্জিত বিনোদন এবং স্বাস্থ্যসেবা পেতে পারে।
- অন্যান্য সুযোগ সুবিধাঃ ইউরোপের অনেক দেশ শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তি এবং টিউশন ফি মওকুফ করে থাকে।
ইউরোপের বিশ্ববিদ্যালয় তে পড়াশুনার পাশাপাশি আপনি সে দেশে কাজ করার সুযোগ
পাবেন।
বিশ্বের অন্যান্য দেশে লেখাপড়ার ক্ষেত্রে যেখানে অনেক খরচ হয় সেখানে
ইউরোপের অনেক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে যেখানে আপনি স্বল্প খরচে লেখাপড়া করার
সুযোগ পাবেন।
উপরোক্ত কারণে ইউরোপে লেখাপড়া করতে যাওয়া শিক্ষার্থীদের স্বপ্নের মত। এ সকল
কারণে একজন শিক্ষার্থী ইউরোপের বিশ্ববিদ্যালয় লেখাপড়া করার আগ্রহ বা ইচ্ছা
প্রকাশ করে থাকে।
ইউরোপে স্টাডি ভিসার জন্য আবেদন করবেন কিভাবে
স্টুডেন্ট ভিসায় ইউরোপে পড়াশোনা করার আগ্রহ অনেক শিক্ষার্থীদের মনে। কিন্তু
কিভাবে ইউরোপে স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন করবে অনেক শিক্ষার্থী এ বিষয়ে অজানা। তো
আজকে আমি আপনাদের জানাবো কিভাবে ইউরোপে স্টাডি ভিসার জন্য আবেদন করবেন।
ইউরোপে স্টাডি ভিসার জন্য আবেদন করতে হলে কিছু প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে।
- প্রতিষ্ঠান নির্বাচনঃ প্রথমে আপনার প্রতিষ্ঠানকে নির্বাচন করতে হবে। সবচেয়ে সঠিক প্রতিষ্ঠানগুলো সম্পর্কে তথ্য নিশ্চিত করুন।
- আবেদন ফর্ম পূরণঃ প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে স্টাডি ভিসার আবেদন ফর্ম পাওয়া যায়। এই ফর্মটি পূরণ করতে হবে।
- ডকুমেন্ট এবং রেফারেন্স প্রদানঃ আপনার শিক্ষাগত অবস্থান, প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট এবং শিক্ষার্থী রেফারেন্স প্রদান করতে হবে।
- ফি প্রদানঃ আবেদন করার জন্য প্রতিষ্ঠানটির নির্দিষ্ট ফি প্রদান করতে হবে।
- আবেদন প্রস্তুতিঃ আবেদন করার পর আপনার আবেদনটি প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্কে সংযোগ রাখা উচিত।
ইউরোপে স্টার্ডি ভিসার খরচ
অনেক স্টুডেন্ট আছে যারা স্টুডেন্ট ভিসা ইউরোপে যেতে চান তাদের স্বপ্ন পূরণের
জন্য। এজন্য তারা সমস্ত রকমের প্রস্তুতি নিয়ে থাকেন। কিন্তু অনেকেই জানেন না
যে স্টুডেন্ট ভিসায় আপনার কত টাকা লাগবে বা খরচ কি রকম হবে। যে সকল
স্টুডেন্ট ইউরোপে আসতে চান তারা আমার এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণরূপে পড়ুন তাহলে
জানতে পারবেন ইউরোপের কোন দেশে কি রকম খরচ হবে স্টুডেন্ট ভিসায়।
গুরুত্ব এই বিষয়গুলো হচ্ছে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে স্টুডেন্ট ভিসা, ভিজিটর
ভিসা এবং ওয়ার্ক পারমিট ভিসার কি রকম খরচ হবে তার একটি নমুনা তুলে ধরা হলো।
আপনারা যারা স্টুডেন্ট ভিসায় ইউরোপে আসতে চাচ্ছেন অবশ্যই এই চাটটি ফলো
করুন।
এবং আপনার অর্থনৈতিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে আপনি ইউরোপের কোন দেশে পড়াশোনা
করবেন এবং কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চাচ্ছেন সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিন। আশা
করছি এই টেবিলটি স্টুডেন্ট ভিসায় ইউরোপে যাওয়ার ক্ষেত্রে আপনার উপকারে
আসবে।
লেখকের মন্তব্য
প্রিয় বন্ধুরা, আজকে আমরা ইউরোপে স্টুডেন্ট ভিসায় যাওয়ার বিষয়ে বিস্তারিত
আলোচনা করেছি। আপনারা যারা স্টুডেন্ট ভিসায় ইউরোপে যেতে চাচ্ছেন সেক্ষেত্রে
সিদ্ধান্ত নিন ,ইউরোপের কোন দেশে যাবেন সে দেশে স্টুডেন্ট ভিসার খরচ কত হবে
জীবনযাত্রার মান কেমন উন্নত ইত্যাদি ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নিন। দ্রুত ভিসার
আবেদন করুন ইউরোপে স্টুডেন্ট ভিসায় যাওয়ার জন্য।
এই পোস্টটি আপনাদের কেমন লেগেছে জানাবেন এবং কোন কিছু জানার থাকলে কমেন্টস
করবেন। সবাই ভালো থাকবেন, ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url