ঘরে বসে অনলাইন থেকে আয় করা সহজ উপায় সম্পর্কে জানুন
প্রিয় পাঠক, অনলাইন থেকে আয় করার কথা ভাবছেন। ভাবছেন কিভাবে অনলাইন থেকে আয় করা যায়। অনলাইনে কি কাজ করা যায় যেখানে কাজ করে আপনি লাখ লাখ টাকা আয় করবেন। তাহলে আমাদের সাথেই থাকুন এবং এই পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। তাহলে, আপনি বুঝতে পারবেন কিভাবে অনলাইন থেকে আয় করা যায় এবং কি কি কাজ করা যায়।
অনলাইনে আয় করার প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। আপনিও চাইলে অনলাইন থেকে আয় করতে পারবেন। আজকে আমি অনলাইন থেকে আয় করার সকল বিষয় আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করছি। তো বন্ধুরা আসুন জেনে নিই অনলাইন থেকে আয় করার উপায় গুলো সম্পর্কে।
ভূমিকা
অনলাইন প্লাটফর্ম এমন একটি জগত যেখানে কাজ করে লক্ষ লক্ষ বেকার যুবক তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পেরেছে। বর্তমান বিশ্বে প্রায় সকল দেশে অনলাইনের মাধ্যমে তাদের দৈনন্দিন কাজ করে থাকে। অনলাইন থেকে ইনকাম করতে চাইলে আপনার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা এবং প্রচুর ধৈর্যের প্রয়োজন হবে। তো চলুন বন্ধুরা জেনে নিই কিভাবে অনলাইন থেকে আয় করা সম্ভব।
অনলাইন থেকে আয় করা সম্ভাবনা কতটুকু
হয়তো আপনার অনেকেই ভাবেন যে অনলাইন থেকে কি আসলেই আয় করা সম্ভব। হ্যাঁ বন্ধুরা অনলাইন থেকে আয় করা অসম্ভব কিছুই নয়। অনলাইন থেকে আয় করে লক্ষ লক্ষ বেকার যুবক তাদের জীবনের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পেরেছে। চাইলে আপনিও অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে আয় করে আপনার জীবনের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারবেন।
সে ক্ষেত্রে অনলাইন থেকে আয় করার উপায় গুলো সম্পর্কে আপনার পরিপূর্ণ ধারণা থাকা প্রয়োজন। যখন আপনি অনলাইনে আয় করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত বুঝতে পারবেন, যখন আপনিও অনলাইন থেকে আয় করতে পারবেন।অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে বিভিন্ন উপায়ে আয় করা সম্ভব। সেক্ষেত্রে আপনাকে অনলাইন সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারণা অর্জন করতে হবে।
এবং আপনি কোন বিষয়ের উপর কাজ করতে চাইছেন, সে বিষয়টা নির্ধারণ করতে হবে। যে বিষয়টা আপনি নির্বাচন করবেন, তার বিষয়ে পরিপূর্ণ জ্ঞান অর্জন করতে হবে। যেমন আপনি যদি ইউটিউব বা ফেসবুকে ভিডিও বানিয়ে সেখান থেকে আয় করতে পারবেন। অনলাইন মার্কেট প্লেসে এরকম অনেক কাজ রয়েছে যেগুলো করে অনলাইন থেকে আপনি ইনকাম করতে পারবেন।
অনলাইন থেকে আয় করার সেরা কয়েক টি উপায়
অনলাইন হলো এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে আপনি চাইলে এখান থেকে নিয়ে চিন্তা করতে পারবেন। এর জন্য অনলাইন থেকে আয় করার সেক্টরগুলো সম্পর্কে আপনার জানতে হবে। যে সেক্টর থেকে আপনি আয় করতে চাচ্ছেন সে বিষয়ে আপনার স্কিল ডেভেলপ করতে হবে। অনলাইন থেকে যদি একবার আয় শুরু হয়ে যায়, তখন আপনার পিছন ফিরে তাকাতে হবে না।
অনলাইনে অনেক সেক্টর হয়েছে যেখানে কাজ করে দেয়ার মাধ্যমে আয় করা যায়। আবার অনেকে ওয়েবসাইট তৈরি করে মার্কেটিং করে আয় করে। আপনি কোন মাধ্যমে আয় করবেন সেটা একান্তই আপনার ব্যাপার। তো আসুন বন্ধুরা আমরা জেনে নেই অনলাইন থেকে আয় করার উপায় বা কিভাবে অনলাইন থেকে আয় করা যায় সে বিষয়ে কিছু তথ্য।
আর্টিকেল লিখে আয় করার উপায়
বর্তমান সময়ে ব্লগ ওয়েবসাইটের সংখ্যা বহু গুণে বৃদ্ধি পায়। এবং আর্টিকেল লেখকের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে আর্টিকেল কি, এবং আর্টিকেল লিখে কিভাবে আয় করা সম্ভব। হ্যাঁ বন্ধু আর্টিকেল লিখে আয় করা সম্ভব। আর্টিকেল হল কোন একটি বিষয়ের উপর বিস্তারিত লেখা। সেটা হতে পারে কোন দর্শনীয় স্থান, আত্মজীবনী, স্বাস্থ্যসেবা ইত্যাদি। অর্থাৎ আপনি এখন যেটা পড়ছেন সেটাও একটা আর্টিকেল।
আপনি চাইলে এই আর্টিকেল লেখার মাধ্যমে আয় করতে পারবেন। আমি দীর্ঘদিন যাবত যেহেতু এই পেশার সাথে জড়িত আছি ,এজন্য বলছি যে এখান থেকেও আয় করা সম্ভব। আপনার মধ্যে যদি লেখার ক্রিয়েটিভিটি থাকে, তাহলে আপনার কাছে এটি অনেক সহজ মনে হবে। আপনি চাইলে আর্টিকেল বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় লিখতে পারেন।
বাংলা পোস্ট লেখার জন্য কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে নিয়মিত কন্টেন্ট পাবলিস্ট করার মাধ্যমে আয় করতে পারেন। আবার মার্কেটপ্লেস থেকে ক্লাইন খুজে তাদের আর্টিকেল লিখে দিয়ে আয় করতে পারেন। তবে আপনার যদি কোন ক্লায়েন্ট না থাকে তবুও আপনি একটা ব্লগ সাইট তৈরি করে, সেখানে কনটেন্ট পাবলিশ করে আয় করতে পারবেন।
ওয়েবসাইট বানিয়ে ইনকাম করা যায় কিভাবে
আপনি চাইলে একটা ওয়েবসাইট বানিয়ে সেখান থেকে অনেক টাকা আয় করা সম্ভব। ওয়েবসাইটে একটি ব্লগ তৈরী করতে পারেন এবং এখান থেকে কম খরচে অনলাইনের এডস স্পন্সার দিয়ে মাসে অনেক টাকা আয় করা সম্বব।একটা ব্লক সাইট তৈরি করতে হলে, আপনাকে প্রথমে একটি ডোমেইন ও হোস্টিং কিনতে হবে।
যে ধরনের ওয়েবসাইট আপনি তৈরি করতে চান, সেরকম ডোমেইন করায় করে হোস্টিং এর সাথে যুক্ত করে একটু ওয়েবসাইট তৈরি করুন। সেই ওয়েবসাইট কে ফ্রি থিম বা পেইড থিম দিয়ে আপনার মত করে সাজিয়ে নিন। এরপর সেখানে কনটেন্ট বা আর্টিকেল পোস্ট করুন। আপনার এই কনটেন্ট বা পোস্ট যখন অন্য কেউ পড়বে, এর বিনিময় গুগল আপনাকে টাকা দিবে।
ভিডিও বানিয়ে ইনকাম করার উপায়
অনলাইনে ভিডিও বানানোর মাধ্যমে আপনি হাই করতে পারেন। আপনার ভিডিও কনটেন্ট এর সাথে ইউটিউব বা ফেসবুক তাদের বিজ্ঞাপন প্রকাশ করার মাধ্যমে আপনাকে টাকা প্রদান করবে। তবে আপনার ভিডিওটি অবশ্যই কোয়ালিটি সম্পূর্ণ হতে হবে। ফলে ভিডিও বানানোর মাধ্যমে আপনি প্রতি মাসে অনলাইন থেকে অনেক আয় করা সম্ভাবনা রয়েছে।
ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করা যায় কিভাবে
অনলাইন জগতে কাজ করে আয় করার সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং করা। এটি আপনি ঘরে বসেই খুব সহজেই করতে পারবেন। তবে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করার জন্য আপনাকে অনেক দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে। কারণ অনলাইনে বায়াররা চাই যে তারা সবচেয়ে ভালো অভিজ্ঞ ও দক্ষতা সম্পন্ন ফ্রিল্যান্সারদের দিয়ে কাজ করে নেবে।
ফিন্যান্সিং এর ক্ষেত্রে শুধু একটি বিষয়ে দক্ষতা থাকলেই হবে এমন নয়। কাজের দক্ষতা থাকার পাশাপাশি আপনার যোগাযোগের দক্ষতা ইংরেজি বলা ও বোঝার দক্ষতা থাকতে হবে। এগুলো যদি আপনার না থাকে তাহলে, আপনি বায়ারদের সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন না যার ফলে আপনার কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা কম থাকবে। জনপ্রিয় কয়েকটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস হলঃ
Fiverr
Guru
Truelancer
Upwork
Frelancer.com
Peopleperhour ইত্যাদি
ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য এগুলোর যে কোন একটিতে কাজ করে আপনি প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা আয় করতে পারবেন। এজন্য বেকার ভাইদের ক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সিং হল অপার সম্ভাবনার একটি দাঁড়।
ব্লগিং করে আয় করার সহজ উপায়
ব্লগিং করে আয় করা বর্তমান সময়ে অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, যা আপনি ঘরে বসে করতে পারবেন। এজন্য প্রথমে আপনার একটি ব্লগ সাইট তৈরি করতে হবে। আপনি চাইলে ফ্রি ব্লগ করতে পারেন আবার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ব্লগিং শুরু করতে পারেন।
ব্লগের মধ্যে বিভিন্ন রকমের আর্টিকেল বা কনটেন্ট পাবলিশ করা হয়ে থাকে। যখন অধিক সংখ্যক মানুষ আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিট করবে তখন আপনি গুগল এডসেন্সের জন্য আবেদন করবেন। আবেদন সম্পূর্ণ হলে google এর দেয়া বিজ্ঞাপনে ক্লিক থেকে আপনি আয় করতে পারবেন। যেটা আপনি ঘরে বসে অনায়াসে করতে পারবেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে যেভাবে আয় করবেন
আপনার ওয়েবসাইটে অন্যের পণ্য বা পোডাক্ট প্রচারের মাধ্যমে বিক্রয় করাকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংবলে। এর মাধ্যমে আপনি বিক্রিত পণ্যের মুল্য থেকে কমিশন পাবেন। আপনার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে যত বেশি বিক্রয় করতে পারবেন আপনি ততবেশি কমিশন বা আয় করতে পারবেন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য ভলো প্রতিষ্ঠান গুলো যেমন অ্যামাজন,দারাজি ইত্যাদি। সবচেয়ে মজার বিষয় হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর সকল কাজ আপনি ঘরে বসে করতে পারবেন।
ইউটিউব থেকে আয় করবেন কিভাবে
বর্তমান সময়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হলো ইউটিউব, যেখান থেকে আপনি চাইলে ঘরে বসে প্রতি মাসে প্রচুর পরিমাণে আয় করতে পারবেন। এজন্য আপনার একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলে সেখানে নতুন নতুন ভিডিও বানিয়ে আপলোড দিতে হবে। ভিডিও যত বেশি ভিউ হবে তত আপনার চ্যানেলে ভিউয়ার বাড়বে।
জেনে রাখা ভালো আপনার চ্যালেনে নির্দিষ্ট সংখ্যক সাবস্ক্রাইবার না হলে, আপনি এখান থেকে ইনকাম করতে পারবেন না।আপনার ভিডিও যাতে অধিক সংখ্যক মানুষ দেখে বা দেখার আগ্রহ বাড়ে সেজন্য আপনাকে মানসম্মত ভিডিও বানাতে হবে। আপনার চ্যালেনের ভিউয়ার এবং বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আপনি ইনকাম করতে পারবেন।
আপনার ভিডিও যত ভিউয়ার দেখবে এবং সাবস্ক্রাইব সংখ্যা যত বেশি হবে আপনার ইনকাম ও ততো বেশি হবে। এজন্য আপনাকে এমন ভিডিও ইউটিউব বা ফেসবুকে পোস্ট করতে হবে যেগুলো মানুষের দেখার আগ্রহ বাড়ে।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে আয়
সোশ্যাল মিডিয়া থেকে আয় করার অনেক উপায় রয়েছে, যেমন facebook, twitter, instagram, pinterest, tiktok ইত্যাদি এর মাধ্যম গুলো থেকে ঘরে বসে আয় করা যায়। এসকল মিডিয়া ব্যবহার করে আয় করা সম্ভব। আপনার পেজে যে কোন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে আয় করা হয়।
বাংলাদেশে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে ফেসবুক। আপনি চাইলে ফেসবুক মার্কেটিং শিখে ঘরে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে আয় করতে পারবেন। বর্তমান সময়ে ছোট বড় সকল কোম্পানি এখন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মার্কেটিং করছে।
আসলে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের ডাটা নিয়ে বিজ্ঞাপন পরিদর্শন করে। ফেসবুকে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করা হয় এজন্য, যার পণ্য লাগবে তার কাছে বিজ্ঞাপনটি শো করে। সোশ্যাল মিডিয়া য় এরকম মার্কেটিং করে আপনিও আয় করতে পারবেন।
সে ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়ায় মার্কেটিং এর পরিপূর্ণ জ্ঞান বা দক্ষতা আপনার থাকতে হবে। আপনি যদি সঠিকভাবে মার্কেটিং করতে না পারেন তাহলে আয় করতে পারবেন না। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে আয় করতে চাইলে এর সম্পর্কে আগে ভালোভাবে আপনার দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
গ্রাফিক ডিজাইনের কাজ করে আয়
বর্তমান সময়ে হাজারো বেকার যুবকের স্বপ্ন ফিন্যান্সিংয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ করে আয় করা। তবে গ্রাফিক ডিজাইনের উপর ফিনান্সিং করতে হলে, আপনাকে গ্রাফিক ডিজাইনের অনেক দক্ষ ও অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে। ওয়েবসাইটে আপনার ডিজাইন দিয়ে একটি গিগ সাজাইতে হবে।
অনলাইন মার্কেটপ্লেসে আপনার এই ডিজাইন বিক্রয়ের মাধ্যমে আয় করা সম্ভব। ফ্রিল্যান্সিং জগতে গ্রাফিক্স ডিজাইনের রয়েছে প্রচুর চাহিদা ও সম্ভাবনা। আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইনের উপর দক্ষতা অর্জন এবং কাজের সঠিক উপস্থাপনা করতে পারেন। তাহলে আপনি ঘরে বসেই গ্রাফিক ডিজাইনের কাজ করে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতি মাসে ইনকাম করতে সক্ষম হবেন।
গ্রাফিক্স ডিজাইন এর মধ্যে অনেক রকমের কাজ রয়েছে যা করে প্রতিমাসে আপনি যথেষ্ট পরিমাণ হাই করতে পারবেন। গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ অনলাইন মার্কেটপ্লেসে প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। আপনি চাইলে ট্রাফিক ডিজাইনার কাজ শিখে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা আয় করতে পারবেন।
ছবি বিক্রি করে আয়
আপনি জেনে অবাক হবেন যে, অনলাইনে ছবি বিক্রি করে আয় করা যায়। আপনি বিভিন্ন রকমের বা বিভিন্ন ডিজাইনের ছবি তুলে সেগুলো বিক্রি করতে পারেন। আপনি ভাবছেন ছবি তুলে সেগুলো কোথায় বিক্রি করব বা এগুলো কিনবে কে। চিন্তার কিছু নাই ছবি বিক্রয় করার জন্য আমি আপনাকে কয়েকটি ওয়েব সাইটের লিংক দিচ্ছি যেখানে আপনি আপনার মনের মত ছবি তুলে বিক্রয় করতে পারবেন।
ছবি বিক্রয় করার জন্য তেমনি একটা ওয়েবসাইট হল “ শাটার স্টক ”। এই সাইটের ছবি বিক্রি করার জন্য আপনাকে সাটার স্টকে ওয়েবসাইটে যেতে হবে এবং নিবন্ধন করতে হবে। শর্ত হচ্ছে আপনার বয়স অবশ্যই ১৮ বছরের বেশি হতে হবে।
তারপর আপনি কয়েকটি ছবি এই কোম্পানি কে দিবেন শাটার স্টক আপনার ছবি রিভিউ করার পর আপনি টাকা পেয়ে যাবেন। তবে ছবির কপিরাইট শুধু আপনার হতে হবে। অন্যথায় ছবি গ্রহণযোগ্য হবে না।
শুধু শাটার স্টকের কাছে ছবি বিক্রি করবেন এমন নয় আপনি চাইলে নিচে দেওয়া ওয়েবসাইটে ছবি বিক্রি করে আয় করতে পারবেন।
GettyImges
Adobe Stock
Etsy
Dreams Time
500 PX ইত্যাদিি
এছাড়াও আরো অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে অনলাইনে।আপনি গুগলে সার্চ দিলে সকল সাইট চলে আসবে। যেকোন ওয়েবসাইটে আপনি ছবি বিক্রি করে প্রতি মাসে ভালো টাকা আয় করতে পারবেন।
অনলাইন মার্কেটপ্লেসে এরকম অনেক কাজ রয়েছে আপনি চাইলে সেগুলোও করতে পারেন। এর জন্য প্রয়োজন আপনার একনিষ্ঠ চেষ্টা, ধৈর্য এবং পরিশ্রম তাহলে আপনি অনলাইন মার্কেটপ্লেসে যে কোন কাজ করে আপনার জীবনের সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হবে। অনলাইন মার্কেটপ্লেসে কাজ করার জন্য আপনার অনলাইন সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারণা থাকা অবশ্যই উচিত।
এই ধারণা যদি আপনার মধ্যে না থাকে তাহলে আপনি কখনোই একজন সফল ফ্রিল্যান্সার বা উদ্যোক্তা হতে পারবেন না। এজন্য অনলাইনে আপনি যে কাজই করুন না কেন ধৈর্য সহকারে, আগ্রহ চিত্তে এবং মনোযোগ সহকারে সেই কাজটিতে প্রকাশ দিন তাহলে আপনি একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হয়ে উঠতে পারবেন
লেখকের মন্তব্য
আপনাদের সামনে ঘরে বসে অনলাইনে মাধ্যমে কিভাবে আয় করা যায় সে সম্পর্কে অনেক তথ্য আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আশা করি, এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে অনলাইনে ইনকাম করার সঠিক তথ্য আপনাদের সামনে তুলে ধরতে পেরেছি। আমরা অনেকেই স্বপ্ন দেখি যে একজন সকল ফিনান্সার হব। কিন্তু বাস্তবে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়া অনেক ধৈর্যের এবং পরিশ্রমের বিষয়।তবে চেষ্টা করলে অবশ্যই আপনি সফল হতে পারবেন।
আমারে আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে কমেন্টস করতে ভুলবেন না। এবং অন্যদের এ পোস্টটি পড়ার সুযোগ করে দেবেন, ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url