মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখবো কিভাবে বিস্তারিত জানুন
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখবো কিভাবে সে সম্পর্কে আপনারা বা যারা ফ্রিল্যান্সিং করার স্বপ্ন দেখেন অনেকেই জানতে আগ্রহ প্রকাশ করে এবং অনেকের মধ্যে কৌতূহল রয়েছে আসলেই মোবাইল দিয়ে কি ফিনান্সিং করা সম্ভব। তাদের জন্য আমার এই পোস্টটি লিখেছি, আপনারা যদি মোবাইল ফ্রিল্যান্সিং করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য।
এই পোস্টটি সম্পূর্ণ ভালোভাবে পড়েন, তাহলে আপনি জানতে পারবেন আসলে মোবাইল দিয়ে ফিন্যান্সিং করা সম্ভব কিনা । অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং শেখার আগ্রহ প্রকাশ করে থাকে কিন্তু ল্যাপটপ বা কম্পিউটার না থাকার কারণে তারা শিখতে পারেনা। তাদের জন্য বলব আপনার চিন্তার কোন কারণ নেই আপনার কাছে যদি একটি ভালো মানের মোবাইল ফোন থাকে তাহলে আপনি ফিনান্সিং করতে পারবেন।
ভূমিকা
বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সারদের সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি মাধ্যম হলো মোবাইল ডিভাইস। এই পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদের জানাবো মোবাইল দিয়ে ফিনান্সিং করার সর্বাধিক ব্যবহৃত কয়েকটি কার্যকারী উপায়। তাহলে আসুন জেনে নিই মোবাইল দিয়ে কিভাবে ফিন্যান্সিং করা সম্ভব কি না।
বর্তমানে আমরা সবাই জানি যে এমন একটি যুগে আমরা বসবাস করছি যেখানে দিনের পর দিন মানুষ মোবাইল কেন্দ্রিক হয়ে উঠেছে। এই ডিভাইস কি প্রায় সকল মানুষের কাছে রয়েছে তবে অনেকেই জানেনা এই ডিভাইস দিয়ে কিভাবে ফিন্যান্সিং করা সম্ভব। আসুন জেনে নিই মোবাইল দিয়ে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং করা সম্ভব সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য।
একটি স্মার্টফোন নির্বাচন করুন
ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য সর্ব প্রথমে আপনাকে বেছে নিতে হবে একটি স্মার্টফোন। আপনি যদি একটি স্মার্টফোন বেছে নিতে পারেন তাহলে ফিনান্সিং করার জন্য যে কাজগুলো করতে হবে তা আপনার জন্য সহজ হয়ে যাবে। এজন্য আপনার লাগবে একটি বড় স্কিন যথেষ্ট স্টোরেজ এবং কার্যকারি প্রসেসর ওয়ালা একটি মোবাইল ডিভাইস।
আরো পড়ুনঃফেসবুক মার্কেটিং কি ?
মোবাইলের মত একটি ডিভাইস দিয়েই ফিনান্সিং করা সম্ভব যদি আপনি মোবাইল সম্পর্কে যথেষ্ট দক্ষতা ও যোগ্যতা অর্জন করতে পারে। এজন্যে আপনার প্রয়োজন হবে একটি স্মার্টফোন, একটি সেরা এপস এবং কার্যকারী কিছু কৌশল যার সাহার্য্যে আপনি একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে পারবেন। এবং এর সাহায্যে আপনি আপনার কর্মজীবনে সফলতার শীর্ষে পৌঁছাতে পারবেন।
মোবাইল অফিস সেটআপঃমোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখার আগে প্রয়োজন অনুযায়ী একটি মোবাইল সেটআপ তৈরি করুন। ডেক্সটপ এর সাথে মিল রেখে এবং একটি ভালো মানের ব্লুটুথ আপনার ফোনের জন্য নির্বাচন করুন।যেন মোবাইল দিয়ে আপনি সহজে কাজটি করতে পারেন।
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো
মোবাইল দিয়ে কিভাবে ফিন্যান্সিং শিখব সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করছি। আশা করছি সম্পূর্ণ পোস্টটি ভালোভাবে পড়ুন তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন কিভাবে মোবাইল দিয়ে ফিন্যান্সিং করা যায়। আসুন জেনে নি ই মোবাইল দিয়ে ফিনান্সিং করার কয়েকটি উপায় সম্পর্কে।
প্রডাক্টিভিটি অ্যাপসঃ মোবাইল দিয়ে ফিন্যান্সিং করার জন্য কিছু প্রোডাক্টিভিটি অ্যাপস যেমন Google workspace, Microsoft Office,Trello, Asana ইত্যাদি প্রয়োজনীয় ম্যানেজমেন্ট টুল ব্যবহার করা শিখুন। এগুলো শিখতে অনেক সময় লাগবে। কিন্তু আপনাকে এগুলো ধৈর্য সহকারে শিখতে হবে। তাহলে আপনি অনলাইন মার্কেটপ্লেস থেকে আয় করতে পারবেন।
ওয়েব ডিজাইনঃ মোবাইল দিয়ে ফ্রান্সিং শেখার একটি জনপ্রিয় কাজ হচ্ছে ওয়েব ডিজাইন। ফিনান্সিংয়ের অনেকগুলো কাজের মধ্যে ওয়েব ডিজাইন একটি কাজ। আপনি যদি ভালভাবে ওয়েব ডিজাইন শিখতে পারেন। তাহলে মোবাইল দিয়ে অনলাইন মার্কেটপ্লেসে কাজ করে প্রচুর পরিমাণে আয় করতে পারবেন। এ কথা সত্য যে আপনি যদি ওয়েব ডিজাইন এর কাজ সম্পূর্ণভাবে মোবাইল দিয়ে করতে চান তাহলে শুধু মোবাইল দিয়ে সম্ভব নয়।
মোবাইল দিয়ে ওয়েব ডিজাইনের কাজ বলতে আপনি করতে পারবেন শুধুমাত্র html,css। আপনি যদি প্রফেশনালি ওয়েব ডিজাইনের কাজ করতে চান তাহলে আপনার অবশ্যই লাগবে একটি ল্যাপটপ বা পিসি। তবে চিন্তার কিছু নেই মোবাইল দিয়েও ওয়েব ডিজাইনের কাজ আপনি করতে পারবেন সে ক্ষেত্রে আপনার প্রয়োজন হবে কিছু অ্যাপস। সেগুলো আপনি Google play store থেকে ইন্সটল করে নিতে পারবেন।সেগুলো হলো
W3school
Free code camp
Programming hero
Solo Lean
কন্টেন রাইটিং এর কাজঃ মোবাইল দিয়ে ফিন্যান্সিং করার ক্ষেত্রে একটি জনপ্রিয় কাজ হচ্ছে কন্টেন্ট রাইটিং। বর্তমান সময়ে ফিনান্সিং জগতের কাজের মধ্যে কনটেন্ট রাইটিং বেশ জনপ্রিয়। আপনি মোবাইল দিয়ে কন্টেন্ট লিখে অনলাইন মার্কেটপ্লেস থেকে ইনকাম করতে পারবেন। তবে এ কাজের জন্য আপনার প্রয়োজন হবে টেক্সট এডিটর অ্যাপ। আর এই অ্যাপস দিয়ে আপনি খুব সহজেই কনটেন্ট বা আর্টিকেল লিখে সহজেই অনলাইন মার্কেটপ্লেস থেকে প্রচুর পরিমাণে আয় করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে কিছু অ্যাপস আপনার ফোনে ইন্সটল করতে হবে। যেমন-
Google doce
Microsoft office word
Wps office
Note ইত্যাদি।
ভার্চুয়ালি অ্যাসিস্ট্যান্টঃ বর্তমান সময়ে আমাদের দৈনন্দিন কাজ সহজ করার জন্য এবং খুব তাড়াতাড়ি করার জন্য আমরা পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট রাখি। অতিরিক্ত কর্মব্যস্ততার কারণে নিজের কাজ অন্যকে দিয়ে করিয়ে নেয়া কে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট বলে। একই রকমের কাজ অনলাইনে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে।
অনলাইনে এ সকল কাজ যার মাধ্যমে পড়িয়ে নেয়া হয় তাকে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট বলা হয়। উল্লেখ্য যে যারা অনেক ব্যস্ত মানুষ নিজের অনলাইনে সঠিকভাবে সময় দিতে পারে না। সে সকল ব্যক্তিরা অনলাইনে তাদের কাজ সঠিকভাবে করিয়ে নেয়ার জন্য ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট নিয়োগ দিয়ে থাকে। সবচেয়ে মজার বিষয় হলো এইটা যে আপনি মোবাইল দিয়ে এ কাজগুলো খুব সহজেই করতে পারেন।
সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারঃ মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার আরেকটি জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া। মনে করুন আপনি একটি ভালো মানের মোবাইল কিনবেন বা কিনতে চান। সে ক্ষেত্রে আপনি কোন ধরনের চিন্তাভাবনা না করেই !কি কিনবেন অবশ্যই না।সেক্ষেত্রে আপনি অনেক বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করবেন যেমন মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা যাবে কিনা, কোন ধরনের মোবাইল কিনবেন সে বিষয়ে যেমন ভাববে, এবং কোন মোবাইল কিনবেন, কোন কোম্পানর মোবাইল কিনলে ভালো হয় ইত্যাদি বিষয় চিন্তা ভাবনা করবেন।
সে ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই কোন সোশ্যাল মিডিয়ায় নক দিতে হবে। এবং সাথে সাথে আপনি দেখতে পাবেন আপনার প্রশ্নের উত্তরগুলো আপনার সামনে চলে এসেছে । কিন্তু এগুলো আপনার সামনে তার এমনি এমনি আসেনি। এই লেখাগুলো মোবাইল কোম্পানি কারোর মাধ্যমে লিখে নিয়েছে।
যার মাধ্যমে মোবাইল কোম্পানি এ কাজগুলো করিয়ে নিয়েছে তাকে টাকা দিয়েছে। এখন একটা মজার বিষয় হচ্ছে আপনি যদি ফিন্যান্সিং করতে চান। তাহলে এই সোশ্যাল মিডিয়া আপনি কাজ করে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন ,আপনার সাথে থাকা মোবাইল দিয়ে।
গ্রাফিক্স ডিজাইনঃ বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তি যুগে অনলাইনে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ হচ্ছে গ্রাফিক্স ডিজাইন। অবাক করার বিষয়ে এই যে একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার প্রতি মাসে প্রায় লক্ষাধিক টাকার উপরে ইনকাম করেন। এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর ক্ষেত্রে উন্নত মানের ডিভাইস লাগে।
এটা মোবাইল দিয়ে সম্ভব নয়। হ্যা ! মোবাইল দিয়ে সম্ভব। এক্ষেত্রে আপনাকে একটু চিন্তা করে গ্রাফিক ডিজাইনকে ভিন্ন ভিন্ন সেক্টরে ভাগ করেন তাহলে গ্রাফিক্স রিলেটেড অনেক বিষয়ে আপনি কাজ করতে পারবেন। যেমন logo design ইত্যাদি। আর এই কাজগুলো আপনি মোবাইল দিয়ে সহজেই করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আপনাকে কিছু অ্যাপস বা ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে হবে।যেমন-
Pixlab
Canva pro
Camtasia
Adobe Photoshop touch
PicsArt
এছাড়াও আরো কিছু অ্যাপস রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই মোবাইল দিয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ করতে পারবে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংঃ মোবাইল দিয়ে ফিন্যান্সিং করার একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে এফিলিয়েট মার্কেটিং.। এফিলেট মার্কেটিং বলতে সেই প্রক্রিয়াকে বুঝায় যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একজন অ্যাফিলিয়েট অন্য কোন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান পণ্য বিক্রয়ের মাধ্যমে কমিশন উপার্জন করে। তাকেই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলে।
সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে এটা যে এই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটে আপনি কোন ইনভেস্টমেন্ট ছাড়াই আপনার মোবাইল দিয়ে প্রতিমাসে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকার উপরে ইনকাম করতে সক্ষম হবে। এজন্য আপনাকে আপনার ফেসবুক প্রোফাইল, পার্সোনাল সোশ্যাল মিডিয়া এবং ইউটিউবে ওই কোম্পানির পণ্য বিজ্ঞাপন হিসেবে প্রচার করতে হবে। আপনার বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে যতগুলো পণ্য বিক্রি হবে এরপর আপনি পারমিশন পাবেন যা আপনার মোবাইল দিয়ে ঘরে বসেই করা সম্ভব।
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার প্রয়োজনীয় অ্যাপস
মোবাইল দিয়ে ফ্রি ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য আপনার কিছু প্রয়োজনীয় এপ্স লাগবে। এই অ্যাপসগুলোর সাহায্যে আপনি সহজেই মোবাইলে মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন। মোবাইল দিয়ে ফ্রান্সিং করার জন্য প্রয়োজনীয় অ্যাপস সমূহ হলো প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট, ক্লাউড স্টোরেজ, কমিউনিকেশন, ফিন্যান্স ম্যানেজমেন্ট অ্যাপস ইত্যাদি। এই অ্যাপস গুলো আপনার ফিনান্সিং করার জন্য আপনার দক্ষতা বাড়াতে এবং কাজগুলোকে সঠিক এবং সুন্দরভাবে করতে সহায়তা করবে।
মোবাইল দিয়ে কি ফ্রিল্যান্সং সম্ভব
মোবাইল দিয়ে কি ফ্রিল্যান্সিং করা সম্ভব কি না এই বিষয়ে অনেকে মনে অনেকে রকমের প্রশ্ন দেখা দিয়েছে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে অনেক রকমের ফিনান্সিং করা সম্ভব। যদিও সেটা কম্পিউটার বা ল্যাপটপ এর মত উন্নত কাজ করা সম্ভব নয়।
তবে ফিনান্সিং এর অনেক রকমের কাজ রয়েছে যেগুলো মোবাইল দিয়ে সহজে করা যায়। ফিনান্সিং এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ বা জনপ্রিয় কাজ যেগুলো আপনি মোবাইল দিয়ে সহজেই করতে পারবেন।
ব্লগিংঃ মোবাইল এর মাধ্যমে আপনি সহজেই কনটেন্ট রাইটিং বা boloking এর কাজ করতে পারবেন। ফিনান্সিং প্ল্যাটফর্ম যেমন ফাইবার অফ ওয়ার্ক ফিনান্সার ইত্যাদি কন কনটেন্ট রাইটার হিসেবে আপনি কাজ পেতে পারেন। আপনার হাতে থাকা মোবাইল google ডগস বা microsoft word ব্যবহার করে আপনি এই কাজটা করতে পারবেন।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংঃ সোশ্যাল মিডিয়া সম্পর্কে যদি আপনার ভালোভাবে ধারণা থাকে তাহলে আপনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং পরিচালনা করতে পারবেন। সেটা হতে পারে কমেন্ট ও পোস্টের রিপ্লাই দেওয়া, পোস্ট তৈরি করা এবং এনালিটিস ট্যাক্স ইত্যাদি। এই কাজগুলো করার জন্য আপনার মোবাইলে ফেসবুক, টুইটার ইনস্টাগ্রাম ইত্যাদি আজ ব্যবহার করতে হবে।
গ্রাফিক্স ডিজাইনঃ মোবাইল দিয়ে আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন এর অনেক রকম কাজ করতে পারবেন যেমন সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট লোগো ব্যানার ইত্যাদি। এই কাজগুলো করার জন্য আপনার ফোনে ক্যানভ াস এডোবি স্পার্ক এর মত কিছু অ্যাপ ব্যবহার করতে হবে।
ডাটা এন্ট্রিঃ ডাটা এন্ট্রির মত কাজ মোবাইল দিয়ে আপনি সহজেই করতে পারবেন। অনলাইন সাইডে ডাটা এনটি সংক্রান্ত অনেক কাজ পাওয়া যায়। সে কাজগুলো আপনি মোবাইল দিয়ে অনার্সেই করতে পারবেন।
ভিডিও এডিটিংঃ নার্সিং জগতে ভিডিও এডিটিং একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হিসেবে পরিচিত। অনেক ফিন্যন্স শুধুমাত্র ভিডিও এডিটিং করে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করে থাকে। এই কাজটা আপনার মোবাইল দিয়ে করা সম্ভব। শুধু আপনার ফোনে দেশের মতো কিছু অ্যাপ ব্যবহার করে এই কাজগুলো আপনি সহজেই করতে পারবেন
ফটো এডিটিং ও রিটাচিংঃ অনলাইন জগতে ফটো এডিটিং এ কাজের অনেক চাহিদা রয়েছে। আপনার মোবাইলে ফটোশপ এক্সপ্রেস এর মত অ্যাপ ব্যবহার করে আপনি সহজেই ফটো এডিটিং এর কাজ করতে পারেন।
প্রোডাক্ট রিভিউ বা টেস্টিংঃ ফিনান্সিং জগতে বা অনলাইনে অনেক কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা প্রোডাক্ট রিভিউ এর কাজ দিয়ে থাকে. এ কাজ এ কাজগুলো করতে বেশি দক্ষতার প্রয়োজন হয় না শুধুমাত্র সঠিক সময়ে রিভিউ বা ফিডব্যাক দিতে হয় যা আপনার মোবাইল দিয়ে করা সম্ভব।
তবে একটা কথা আপনাদের বলতে চাই মোবাইল দিয়ে প্লানচিং করা খুব একটা সহজ বিষয় নয়। মোবাইল দিয়ে করতে হলে আপনার লাগবে প্রচুর পরিমাণে দক্ষতা অর্জন করা এবং ধৈর্য। এবং আপনাকে একটি লক্ষ্য নির্দিষ্ট করতে হবে যে আপনি এই একটি কাজের মাধ্যমে আপনার সফলতা অর্জন করতে চান।
মোবাইল দিয়ে ফিন্যান্সিংয়ের কি কি কাজ করা সম্ভব
বর্তমান সময়ে অনেক মানুষের প্রশ্ন মোবাইল দিয়ে কি ফিন্যান্সিং করা যায়। মোবাইল দিয়ে ফিন্যান্সিং এক্ষেত্রে কি কি কাজ করা সম্ভব। কারণ অনেকেই মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার পরিকল্পনা করে থাকে কিন্তু তারা সঠিকভাবে না জানার কারণে ব্যর্থ হয়। মোবাইলে দিয়ে ফিন্যান্সিংয়ের অনেক কাজ করতে পারবেন, যদি সে সম্পর্কে আপনার সঠিক ধারণা থাকে। আসুন জেনে নিই মোবাইল দিয়ে ফিন্যান্সিংয়ের কি কি কাজ করা সম্ভব।
- মোবাইল দিয়ে ইউটিউবে ভিডিও মার্কেটিং করে আয়
- ফেসবুক পেজ তৈরি করে আয়
- ফেসবুক গ্রুপ থেকে ইনকাম করা যায়
- অনলাইনে ডাটা এন্ট্রি করে আয়
- এফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায় মোবাইল দিয়ে
- ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করা যায় মোবাইল দিয়ে
- মোবাইল এর মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং করে আয়
- ফটো এডিটিং করে মোবাইলে মাধ্যমে আয় করা যায়
- মোবাইল দিয়ে অন্যের ওয়েবসাকন্টেন কন্টেন রাইটিং করে আয় করা যায়
- মোবাইলের মাধ্যমে ভিডিও দেখে গেম খেলে এবং এড দেখে আয় করা যায়
- মোবাইল দিয়ে ইউটিউব বা ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করে আয় করা যায়
মোবাইলের মাধ্যমে উপরোক্ত এই কাজগুলো করে অনলাইন থেকে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। তবে মোবাইল দিয়ে এই কাজগুলো করার জন্য আপনাকে অবশ্যই এ সকল বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিতে হবে এবং সঠিকভাবে দক্ষতা অর্জন করে কাজ করতে হবে। তাহলে আপনি এই বিষয়গুলোর উপর কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন।
মোবাইল দিয়ে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং করব
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্ন্সিং করার ক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমেই কোন প্রতিষ্ঠিত ট্রানার এর কাছ থেকে ভালোভাবে স্কিল ডেভেলপমেন্ট করতে হবে। আপনি যদি কোন কোর্স করতে না পারেন । তাহলে ইউটিউব থেকে ফ্রিতে ফ্রিল্যান্সিং কোর্সগুলো দেখে সে বিষয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করুন। এছাড়াও আপনি কোন অভিজ্ঞ ফিন্যান্সার এর কাছ থেকে ফিন্যান্সিং শিখতে পারেন।
এছাড়া আপনার আশেপাশে যারা ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে কাজ করে তাদের সহযোগিতা নিয়ে মোবাইলের মাধ্যমে করতে পারবেন। সর্বোপরি মোবাইলে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং করবেন সে বিষয়ে ইউটিউবে হাজার রকমের ভিডিও রয়েছে। সেখান থেকে আপনি মোবাইল দিয়ে কিভাবে ফিন্যান্সিং করবেন সে বিষয়ে বিস্তারিত জ্ঞান অর্জন করুন।
এবং ফ্রিল্যান্সিং করতে যে সকল অ্যাপসের প্রয়োজন সেগুলো আপনার মোবাইলে ইন্সটল করুন। এর জন্য প্রয়োজন হবে ভালো মানের একটা মোবাইল ফোন। তাহলে আপনি মোবাইল দিয়ে ফিন্যান্সিং করতে পারবেন।
লেখকের মন্তব্য
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য আপনাকে প্রথমে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে জানতে হবে। ভালো কোন প্রতিষ্টানে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সে সম্পর্কে পরিপূর্ণ জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি আপনাকে ধৈর্য সহকারে কাজ চালিয়ে যেতে হবে। তাহলে আপনি মোবাইল দিয়ে ফিন্যান্সিং করতে পারবেন।
আমারে পোস্টটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্টস করে জানাবেন এবং অন্যদের দেখা বা পড়ার সুযোগ করে দেবেন ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url