বাদাম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

এখন আমরা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব. বাদাম একটি পুষ্টিগুণ সম্পন্ন ও মুখরোচক খাবার। আমাদের ডায়েটের জন্য বাদাম অনেক উপকারী। কয়েক রকমের বাদাম রয়েছে যেমন কাজুবাদাম, চিনা বাদাম পেস্তা বাদাম, এবং কাঠবাদাম এ সকল বাদামের মধ্যে রয়েছে অনেক পুষ্টিকর উপাদান যা শরীরের জন্য উপকারী।
বাদাম-খাওয়ার-উপকারিতা-ও-অপকারিতা-বিস্তারিত
আমাদের শরীরের জন্য সব খাবার একটি নির্দিষ্টতা রয়েছে তেমনি বাদাম খাওয়ার একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ রয়েছে। প্রয়োজনের অতিরিক্ত খেলে আমাদের শরীরের ক্ষতি হতে পারে। তবে আসুন জেনে নেই বাদাম খাওয়ার ফলে আমাদের কি কি উপকারিতা রয়েছে এবং কি কি অপকারিতা রয়েছে।

ভূমিকা

বাদাম একটি পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবার। ছোট বড় সবার কাছে একটি জনপ্রিয় সাধের এবং পুষ্টিগুণের দিক থেকে। এর মধ্যে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত কার্যকারী। বাদাম খাওয়ার বিভিন্ন উপকারিতা রয়েছে, তেমনি রয়েছে অপকারিতা। এজন্য প্রয়োজনের অতিরিক্ত বাদাম না খাওয়াই ভালো। আসুন, বাদাম খাওয়ার উপকারিতা গুলো কি তা জেনে নিই।

বাদাম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

পুষ্টিগুণের দিক থেকে বাদামের কোন বিকল্প নেই। এটা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। বাদামের মধ্যে রয়েছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, কপার, সেলেনিয়াম, আয়রন, জিঙ্ক ও ম্যাঙ্গানিজ। 
বাদাম-খাওয়ার-উপকারিতা-ও-অপকারিতা
বিশেষভাবে রয়েছে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স এবং ভিটামিন ই। বাদামের এ সকল উপাদান গুলো আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী যা আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। আসুন বাদামের উপকারিতা গুলো জেনে নিই।
ওজন নিয়ন্ত্রণঃ বাদামের মধ্যে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন ও ফ্যাট যাওয়ার নিয়ন্ত্রনে ভূমিকা রাখে। ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য আপনি বাদাম খেতে পারেন।

ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণঃ বাদাম ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণে জন্য ভালো। বাদামের মধ্যে রয়েছে ফলিক ও ফাইটিক এসিড যা আপনার কোলন ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণের সহায়তা করে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণঃ ডায়াবেটিসের মাত্রা ৩০ শতাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব আপনি যদি নিয়মিত বাদাম খান। কারণ গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত বাদাম খাওয়ার ফলে আপনার শরীরে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে।

মস্তিষ্কের সুরক্ষায়ঃ বাদামের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন এ,বি,ডি ও সকল রকমের পুষ্টির সংমিশ্রণ যা আপনার স্ট্রোকে ঝুঁকি কমায় এবং মস্তিষ্কের সুরক্ষা দেয়। তাই মস্তিষ্কের সুরক্ষার জন্য আপনার নিয়মিত বাদাম খাওয়া উচিত।

সৌন্দর্য বৃদ্ধিঃ বাদামের মধ্যে থাকা ভিটামিন ই আপনার ত্বককে উজ্জ্বল ও মসৃণ রাখে। এবং বাদাম আপনার বয়সের ছাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

মেজাজ ভালো রাখতেঃ আপনার মন মেজাজ ভালো রাখতে দিনে একবার হলেও বাদাম খান। বাদামের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি যা আপনার খাদ্য চাহিদা পূরণসহ, মনকে সুন্দরও সতেজ করে তোলে এবং মনের বিষণ্ণতা দূর করতে সাহায্য করে।

হার্ট ভালো রাখতেঃ আপনি নিয়মিত বাদাম খেতে পারেন। বাদামের মধ্যে থাকে এসিড যা হার্টের জন্য খুব ভালো। এছাড়াও বাদামের মধ্যে রয়েছে তামা, লোহা, দস্তা এবং ম্যাগনেসিয়াম এর মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যা আপনার রক্তে সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে এবং হার্টকে সুস্থ রাখে।

হাড়ো জয়েন্টে ব্যথাঃ আপনি কি আপনার শরীরের হাড়কে মজবুত করতে এবং জয়েন্টের ব্যথা দূর করতে তাহলে আপনাকে অবশ্যই নিয়মিত বাদাম খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

এছাড়াও ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি, পিত্তথলি পাথর হাওয়া থেকে মুক্তি পেতে, চুলের যত্নে, দাঁতের যত্নে, শারীরিক ক্লান্তি দূর করতে আপনি নিয়মিত বাদাম খেতে পারেন।

বাদাম খাওয়ার অপকারিতা

যে কোন খাবারই প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাওয়া উচিত নয়। এতে নানা রকমের শারীরিক ও মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। তেমনি বাদাম ও প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাওয়া ঠিক না। আসুন জেনে নিই বাদাম খাওয়ার ফলে আমাদের কি কি অপকারিতা বা অসুবিধা রয়েছে সেগুলো।
  • বাদাম হল উচ্চ প্রোটিন ও ফ্যাট যুক্ত একটি খাবার। ফলে আপনি প্রয়োজনের অতিরিক্ত বাদাম খেলে আপনার ওজন বেড়ে যেতে পারে।
  • কোন কিছুই প্রয়োজন এর অতিরিক্ত খাওয়া উচিত নয়। আপনি যদি নিয়মিত অধিক পরিমাণে বাদাম খান তাহলে আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এটি বাদামের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ।
  • অতিরিক্ত বাদাম খাওয়ার ফলে আপনার খাদ্য অভ্যাস বদলে যেতে পারে ফলে ক্ষুধা মন্দা দেখা দেবে।
  • অতিরিক্ত বাদাম খেলে আপনার বমি বমি ভাব এবং বদ ওজন হতে পারে।
  • আপনি বাদামের সঙ্গে যদি লবণ মিশিয়ে খান তাহলে আপনার উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে।
  • অতিরিক্ত বাদাম খাওয়ার ফলে আপনার এলার্জি সৃষ্টি হতে পারে এবং খাদ্যনালীতে জ্বালাপোড়া হতে পারে।

সকালে কাঁচা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা

আপনি জানলে অবাক হবেন প্রতিদিন সকালে কাঁচা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। আপনি যদি নিয়মিত সকালে কাঁচা বাদাম খান, তাহলে আপনার শরীরে বিভিন্ন রকমের পুষ্টির উপস্থিতি ঘটবে। যেমন ক্যালসিয়াম, আয়রন, ওমেগা ৩, প্রোটিন, ভিটামিন ই।

সকালে-কাঁচা-বাদাম-খাওয়ার-উপকারিতা
কাঁচা বাদামের সকল পুষ্টি আপনার হাড়কে শক্তিশালী করবে ,ক্যান্সারের সম্ভাবনা দূর করবে এবং আপনার মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। আপনার শরীরের মাংস বৃদ্ধি করবে বা তার মধ্যে থাকা প্রোটিন। আসুন সকালে কাসা বাদাম খাওয়ার কয়েকটি উপকারিতা সম্পর্কে জানি।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিঃ যারা নিয়মিত কাঁচা বাদাম খায় তাদের শরীরের শক্তি অন্যদের থেকে বেশি থাকে। কাঁচা বাদামের মধ্যে থাকা প্রোটিন শরীরের শক্তি বাড়িয়ে দেয়। ক্যান্সারের সম্ভাবনা দূর করতে, মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং হাড়কে শক্তিশালী করতে কাঁচা বাদাম কার্যকারী। কারণের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন, কার্বোহাইড্রেট এবং ফ্যাটের মধ্যে উপাদান যা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে আপনাকে শক্তিশালী করে।
রক্তস্বল্পতা থেকে মুক্তিঃ আপনার শরীরের রক্ত বৃদ্ধি করতে কাঁচা বাদাম খেতে পারে। কাঁচা বাদামের মধ্যে থাকা আয়রন আপনার রক্তে পরিমাণ বাড়িয়ে দেবে এবং রক্ত চলাচল স্বাভাবিকভাবে।

হজম শক্তি বৃদ্ধিঃ আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধির জন্য কাঁচা বাদাম ভিজিয়ে রেখে প্রতিদিন সকালে খেতে পারেন। কাঁচা বাদাম এর মধ্যে থাকা ফাইবার ভিজিয়ে রাখার ফলে অনেক গুণে বৃদ্ধি পায় যা আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি করে থাকে।

গ্যাস ও এসিডিটি থেকেঃ কাচা বাদামের মধ্যে রয়েছে কপার, ম্যাঙ্গানিজ, পটাশিয়াম, আয়রন, ইত্যাদি নানা রকমের পুষ্টি উপাদান। পানিতে ভিজিয়ে রেখে প্রতিদিন সকালে এ কাঁচা বাদাম খেলে এসিডি ও গ্যাস্টিক থেকে আপনি মুক্তি পাবেন।

ক্যালসিয়ামের অভাবঃএছাড়াও আপনি হাড়কে মজবুত করতে কাঁচা বাদাম খাবেন। একটি নির্দিষ্ট সময় পরে হাড়ের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। এবং দাঁতের ক্ষয় রোদে ক্যালসিয়ামের প্রয়োজন পড়ে। কাঁচা বাদাম আপনার ক্যালসিয়ামের অভাব দূর করবে। এবং বাদামের মধ্যে থাকা আইরন আপনার রক্তশূন্যতা দূর করতে সাহায্য করবে।

ত্বকের যত্নেঃকাঁচা বাদামের মধ্যে থাকা ভিটামিন ই আমাদের ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। নিয়মিত কাঁচা বাদাম খেলে আপনার শরীর থাকবে সতেজ বাড়বে উজ্জ্বলতা। ত্বকের মধ্যে পড়বে না কোন ছাপ। এবং চুল ভালো রাখতে সাহায্য করে বাদামের মধ্যে থাকা ভিটামিন ই।

গর্ভাবস্তায় বাদাম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

আপনি কি গর্ভাবস্তায় বাদাম খাওয়ার উপকারিতা নিয়ে ভাবছেন। গর্ভাবস্থায় বাদামের উপকারিতা অপরিসীম। একটা গবেষণায় দেখা গেছে যে, মা ও শিশু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে বাদামের ভূমিকা অপরিসীম। আসুন গর্ভাবস্থায় বাদাম খাওয়ার কিছু উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসি।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধঃ বাদামের মধ্যে থাকা ভিটামিন, আয়রন, জিংক, ক্যালসিয়াম, ইত্যাদি থাকাই মা ও শিশু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এজন্য গর্ভাবস্তায় নিয়মিত বাদাম খাওয়া উচিত।

মাংস বেশি গঠনঃ বাদামে থাকা উচ্চ মাত্রায় প্রোটিন শিশুর মাংস পেশি গঠনের সহায়তা করে। এতে শিশুর ওজন বাড়তে সহায়ক হয়।

দাঁত ও হাড় গঠনঃ গর্ভের শিশুর হাড় ও দাঁত মজবুত করতে ক্যালসিয়ামের প্রয়োজন। এজন্য গর্ভাবস্থায় প্রত্যেক মেয়েদের নিয়মিত কাঁচা বাদাম খাওয়া উচিত, কাঁচা বাদামের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম।

স্নায়ুতন্ত্রঃ বাদামের মধ্যে থাকা ম্যাগনেসিয়াম স্নায়ুতন্ত্রে উন্নত করে। এবং শিশুর ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। এজন্য গর্ভবতী মেয়েদের নিয়মিত বাদাম খাওয়া ভালো।

হৃদপিণ্ড ভালো রাখেঃ গর্ভবতী মেয়েদের হৃদপিণ্ড ভালো রাখতে নিয়মিত বাদাম খাওয়া উচিত। বাদামের মধ্যে রয়েছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড প্রচুর পরিমাণে যা গর্ভবতী মেয়েদের হৃদপিণ্ড ভালো রাখতে ভূমিকা রাখে।

ভিটামিন ও মিনারেলঃ বাদাম হলো ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ একটি খাবার। এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি-১২, ভিটামিন ডি এবং প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম। গর্ভধারণের পর যে সকল মহিলার মাছ-মাংস খেতে পারে না। তাদের জন্য উচিত হবে নিয়মিত নিয়মিত বাদাম খাওয়া। বাদাম এ সকল চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণঃ গর্ভধারণের পর অনেক মেয়েরা দুশ্চিন্তা ও হতাশাগ্রস্তে ভোগে ফলে উচ্চ রক্তচাপের সৃষ্টি হয়। এতে মা ও সন্তানের প্রতি সম্ভাবনা বেশি থাকে। এই উচ্চ রক্তচাপ থেকে মুক্তি পেতে গর্ভবতী মহিলাদের নিয়মিত বাদাম খাওয়া উচিত। কারণ বাদামের মধ্যে রয়েছে উচ্চমাত্রায় ক্যালসিয়াম যার রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে।

সকালে বাদাম ভিজিয়ে খেলে কি হয়

আমাদের সকলেরই জানা যে বাদাম আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। কিন্তু এ বাদাম খাওয়ার ফলে অনেকেরই হজমের সমস্যা হয়। এজন্য চিকিৎসকরা বাদাম ভিজিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কেন বাদাম ভিজিয়ে খাওয়া লাগবে আমরা কি এ বিষয়ে কোন তথ্য জানি। আসুন জেনে নেই বাদাম ভিজিয়ে খেলে কি হয়।
  1.  বাদামের মধ্যে রয়েছে ফ্যালোনিক যৌগ ট্যানিন। এটি সহজ হজম হয় না। হলে বাদাম খেলে অনেকেই বদহজম হয়। বাদাম খাওয়ার আগে ভিজিয়ে রাখলে এই ট্যানিনের পরিমাণ কমে যায় ফলে সহজে হজম হয়।
  2. বাদামের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফাইটিক অ্যাসিড যা শরীরের আয়রন জিংকের সঙ্গে বিক্রিয়ার ফলে যে লবণ তৈরি হয় তা খাদ্যনালীতে দ্রবীভূত হয় না। ফাইট্রিক এসিড মানবদেহের পেপসিন, টিপসিন উৎসেচকের মাত্রা কমিয়ে দেয় ফলে প্রোটিন বিপাকে বাধা দেয়। ফাইটিক এসিডের পরিমাণ কমে যাবে আপনি যদি বাদাম ভিজিয়ে খান।
  3. কিছু শক্ত বাদাম আছে যা সহজে পরিপাক হয় না। ভিজিয়ে রাখলে বাদামগুলো অনেক নরম হয়ে যায়, ফলে হজমের অসুবিধা হয় না। শক্ত বাদাম যেমন কাঠবাদাম।
  4. সব বাদাম একই নিয়মে ভেজানোর প্রয়োজন নেই। যেমন কাঠবাদাম খাওয়ার ১২ ঘন্টা আগে ভিজিয়ে নিলে ভালো হয়। আখরোট, পাইন নাট ৮ ঘন্টা ভিজালেই ভালো এবং কাজুবাদাম ৬ ঘন্টা।

তবে আপনি যদি অন্যান্য সময়ে চেয়ে সকালে কাচা বাদাম খেতে পারেন সবথেকে বেশি পুষ্টি ও উপকারিতা পাবেন। তবে প্রয়োজনের অতিরিক্ত কোন কিছুই আমাদের শরীরের জন্য ভালো নয়। এজন্য যে খাবার খান না কেন সেগুলো একটা নিয়মের মধ্যে খেতে হবে, তাহলে আপনি সুস্থ ও স্বাভাবিক থাকবে।

মন্তব্য

আমরা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করলাম। আপনি যদি নিয়ম মেনে বাদাম খেতে পারেন তাহলে আপনার জন্য রয়েছে একটি রোগ মুক্ত শরীর। তবে সেটা নিয়ম মেনে এবং অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না। মনে রাখবেন অতিরিক্ত কোন কিছুই আমাদের শরীরের জন্য ভালো নাই।

আমার এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন এবং অন্যদের পড়ার সুযোগ করে দেবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url